‘আমার স্ত্রী মাহমুদা খানমের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো ছিল। আমাদের সম্পর্ক নিয়ে যারা নেতিবাচক কথা বলছেন, তারা ভুল বলছেন। আর আমাকে গ্রেফতার বা আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাজে আমাকে নেওয়া হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আবার বাসায় চলে এসেছি।’
শনিবার রাতে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার একটি দৈনিককে এসব কথা বলেন। তার স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যার ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ ওঠা কয়েকজনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে বাবুল আক্তারকে সবাই চিনতেন। কিন্তু তিনি অনেককেই চেনেন না। তাই তাদের বিষয়ে তিনি বলতে পারবেন না।
জিজ্ঞাসাবাদ করতে কেন তাকে গভীর রাতে আটক করা হলো— এ প্রশ্নের সরাসরি কোনো জবাব না দিয়ে এসপি বাবুল বলেন, “আমি মামলার বাদী। তদন্তের বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নেওয়া হয়েছিল। ”
স্ত্রীর সঙ্গে তার কোনো দ্বন্দ্ব ছিল কি না, জানতে চাইলে বাবুল বলেন, “না, এমন কিছু ছিল না। আমাদের সম্পর্ক ভালো ছিলে, এসব ফালতু কথা।”
ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে ১৪ ঘণ্টা কী জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, জানতে চাইলে বাবুল আক্তার বলেন, ক্রিমিনালরা অনেক তথ্য দিয়েছে, যেসব তথ্য দিয়েছে তা নিয়ে এবং তদন্তের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করতে তাকে ডেকে নেওয়া হয়েছিল।
জানতে চাইলে রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, একটা কথা উঠলে তা তো পরিষ্কার করতে হবে। বাবুল আক্তারকে নিয়ে ক্রিমিনালদের সামনাসামনি করা হয়েছে । তারা যা বলেছে, তা যাচাই করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “আমরা সবকিছুই প্রকাশ করব আরও একটু সময় নিয়ে।”
তবে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেন, “বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়নি। বাবুল আক্তার মামলার বাদী। মামলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তথ্য পাওয়ার জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে গত ৫ মে চট্টগ্রামে তাদের বাসার কাছে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন নতুন নির্বাচন কমিশনার ...
পাঠকের মতামত